Main Menu

কাশ্মীর: যেখানে ভুখন্ডের দাবীতে মানুষ উপেক্ষিত!

কাশ্মীর: যেখানে ভুখন্ডের দাবীতে মানুষ উপেক্ষিত!

লেখক- আলী ওয়াসিকুজ্জামান অনি: কাশ্মীর সমস্যা শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে, যখন ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের পর ব্রিটিশদের কাছ থেকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়। সেই সময়ে কাশ্মীর ছিল একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য, যার শাসক ছিলেন হিন্দু মহারাজা হরি সিংহ। তিনি প্রথমে স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু পাকিস্তানপন্থী উপজাতীয়রা কাশ্মীরে আক্রমণ করলে, তিনি ভারতের সহায়তা চান এবং ভারতের সঙ্গে ‘অধিগ্রহণ চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। এর ফলে কাশ্মীর ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়, কিন্তু পাকিস্তান এটি মেনে নেয়নি।

এই ঘটনার পর থেকেই কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান তিনটি বড় যুদ্ধ করেছে-

প্রথম যুদ্ধ (১৯৪৭-৪৮): কাশ্মীর বিভাজিত হয়, এক অংশ ভারতের, এক অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে যায়।

দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৯৬৫): পাকিস্তান চায় কাশ্মীরে বিদ্রোহ জাগাতে, ভারত তা দমন করে।

তৃতীয় যুদ্ধ (১৯৯৯ – কারগিল যুদ্ধ): পাকিস্তানি সেনা ও জঙ্গিরা গোপনে ভারতীয় অবস্থান দখল করে, পরে ভারত তা ফিরিয়ে নেয়। (এছাড়াও ১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল পূর্ব পাকিস্তানকে ঘিরে, কিন্তু সেটিও কাশ্মীর সংকটে প্রভাব ফেলেছে)।

এই সবকিছুর মধ্যেও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন ও নিরাপত্তা কোথাও আলোচনায় নেই, আগেও ছিলোনা।

২০১৯ সালে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়, যার মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ, ঘরবন্দি জীবন, নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজর—সব মিলিয়ে এক বিপর্যস্ত জনপদে পরিণত হয় কাশ্মীর।

আমরা বারবার শুনি ভারত-পাকিস্তানের দাবি, কিন্তু খুব কমই শুনি—কাশ্মীরিরা কী চায়? তারা কি চায় এই যুদ্ধ, সেনা উপস্থিতি আর দমন? নাকি তারা চায় শিক্ষা, শান্তি আর সম্মানের জীবন? কাশ্মীর মানে শুধু ভূখণ্ড নয়—কাশ্মীর মানে মানুষ। মানুষের ইচ্ছা, মর্যাদা আর মানবাধিকারের সুরক্ষা ছাড়া কখনোই এই সংকটের সমাধান হবে না।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *