জাতীয় নির্বাচন আসলে-ই অন্যরকম হয়ে যান আরিফ ভাই . হন্য হয়ে হেভিওয়েট খোঁজেন !

ষ্টাফ রিপোর্টার : এমনিতে আন্দোলন, সংগ্রাম, ফিতা কাটা, কেক কাটা-সবকিছুতে আরিফুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির একসাথেই ছিলেন। বিগত দিনে শহরের যে কোন অনুষ্ঠানে তারাঁ দুজন পাশাপাশি দাড়িয়েছেন। কেন্দ্রীয় মিছিল মিটিং, সভা-সমাবেশ তাদের দেখা গেছে একসাথে। ভেতরে ভেতরে দূরত্ব থাকলেও জুলাই আগষ্টের আন্দোলন অথবা বিগতে দিনের আন্দোলনে বৈরিতা দেখা যায়নি। শহরের বিয়ে শাদি সামাজিকতায়ও দুজনকে দেখা গেছে একসাথে।
তবে প্রতিবার জাতীয় নির্বাচন আসলে একেবারেই বদলে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি তখন অতিরিক্ত ওজন খুজতে থাকেন । মানে হেভিওয়েট !
২০১৮ সালে সেই হেভিওয়েট খুঁজতে খুজতে ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে আসেন। কেন্দ্র এবং লন্ডনে যোগ্য হিসেবে কেন্দ্রকে উপস্থাপন করেন। অথচ দল ততদিনে তৃনমূল থেকে গড়া খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে নিয়ে ভাবছে। আরিফুল হক তুমুল বিরোধীতা করে। ইনাম সাহেবকে নিয়ে তিনি মরণকামড় দেন । কিন্তু দল তার এই হেভিওয়েট তত্ত¡ গ্রহন করেনি। মুক্তাদির সাহেবকে নমিনেশন দেয় । ১৮ এর সেই সাজানো নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির প্রায় ১ লাখের উপর ভোট পান।
১৮ থেকে ২০২৫ । সুরমায় অনেক জল গড়িয়েছে। ২৪ সালে সারাদেশের আপামর মানুষের জেগে উঠা নব বিপ্লবে বিদায় নেয় স্বৈরাচার। সিলেট বিএনপির সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা জানবাজি রেখে সেই আন্দোলনে অংশ নেয়। সিলেট বিএনপি পরিবারের মধ্যে একটা সুন্দর রাজনৈতীক আবহ দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি একসাথে পালন করে সবাই । আরিফুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির , মিফতাহ সিদ্দিকি সবাই এককাতারে দাড়িঁয়ে অসংখ্য কর্মসূচী পালন করে। তবে এক সপ্তাহে ধরে সিলেট বিএনপিতে সেই ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডন সফর থেকে সেই ফাটলের সূত্রপাত।
প্রতিটা নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে আরিফুল হক চৌধুরীর মাথায় অতিরিক্ত ওজন ভর করে । এবারও তাই হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এবার অতিরিক্ত ওজনদার প্রার্থীর খোঁজে তিনি সুদূর লন্ডনে যান । তাও যেই সেই প্রার্থী না । দলের মালিককেই প্রার্থী চান। না হয় জিয়া পরিবারের কেউ। সিলেট বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অথবা দলের উনার স্ত্রী সিলেট কন্যা ডাঃ জুবাইদা রহমানকে সিলেট আসনে প্রার্থী হিসেবে পেলে সিলেটবাসীর জন্য সৌভাগ্যজনকই বলে মনে করেন।
প্রায় দেড়যুগ ধরে এই আসনে একজন নেতা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ১৮তে প্রতিকূল পরিবেশে ১ লাখের উপর ভোট পেয়েছেন। তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে সিলেট ১ আসনে প্রার্থী হিসেবে পেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরও খুশি হবেন।
তবে আরিফুল হক চৌধুরী যে প্রক্রিয়ায় ঢোল পিটিয়ে হেভিওয়েট খুজছেন তা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী করেছে। এবং সবাই বলছে সিলেটের বাকি ৬টি আসনেও হেভিওয়েট খেঁজা উচিৎ। নির্বাচন আসলেই উনি কেন এত হেভিওয়েট খোঁজেন তা নিয়ে বিশ্মিত সবাই !
Related News

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের আদালতে সাক্ষ্য দিলেন পাঁচজন
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।Read More

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত : সেনাপ্রধান
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নির্বাচনRead More